অনলাইন ডেস্ক: ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) সুধাংশু শেখর ভদ্র ও পোস্টাল পরিদর্শদক রাবেয়া খাতুনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দদুক)।
মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) কমিশনের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধানের কাছে এই নিষেধাজ্ঞার চিঠি পাঠান।
সালাহউদ্দিন সাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘ডাক অধিদপ্তরের ডিজি সুধাংশু শেখর ভদ্রসহ অন্যান্যের বিরুদ্ধে ডাক বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না সম্পুর্ণ বাস্তবায়ন না করে পরস্পরের যোগসাজশে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত একটি অভিযোগ কমিশনে অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সুধাংশ শেখর ভদ্র ও রাবেয়া খাতুন দেশত্যাগ করে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে তাদের বিদেশ গমণ রহিতকরণ প্রয়োজন। ’
চিঠিতে সুধাংশুর ঠিকানা লেখা হয়েছে, গ্রাম পদ্মবিল, ডাকঘর বিলতলা, থানা ও জেলা গোপালগঞ্জ। চিঠিতে তার পাসপোর্ট নম্বর, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে। একইভাবে রাবেয়া খাতুনের ঠিকানা লেখা হয়েছে পিতা: আবু তাহের, গ্রাম আনন্দীপুর, উপজেলা সোনাইমুড়ী, জেলা নোয়াখালী। চিঠিতে তার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে।
সুধাংশু শেখর ভদ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ডাক বিভাগের ভবন নির্মাণ, পোস্ট ই-সেন্টার ফর রুরাল কমিউনিটি প্রকল্পের কেনাকাটা, পয়েন্ট অব সেল (পওস) মেশিন কেনায় অনিয়ম, উদ্যোক্তাদের সাড়ে আট হাজার ল্যাপটপসহ অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ না করে বিল তুলে নেয়াসহ নানা অনিয়ম করেন তিনি।
এরই অংশ হিসেবে গত ১ সেপ্টেম্বর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অভিযোগ অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন। এছাড়াও অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ও অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) এইচএম গিয়াসউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।