অনলাইন ডেস্ক: গণফোরাম সভাপতির নেতৃত্ব ছাড়তে চান বলে জানিয়েছেন ড. কামাল হোসেন।
দলের নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি দলের নেতৃত্ব ছাড়তে চাই। কাউন্সিলে কাউন্সিলররা তাদের নেতা নির্বাচন করবেন। ’
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের বাসভবনে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এ বিষয়ে গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ‘উনি নেতৃত্ব ছাড়তে চান। কিন্তু আমরা তার মত যোগ্য ও বর্ষীয়ান নেতাকে ছাড়তে চাই না বলে তিনি দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাড়াননি। গণফোরামের গ্রহণযোগ্যতা ও গুরুত্বের জন্য আমরা তাকে নেতা হিসেবে রেখেছি। ’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে দেশে চলমান বিতর্ক নিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘ভাস্কর্যের সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। ভাস্কর্য একটি দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে’।
এ সময় মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ভাস্কর্য এ দেশে নতুন নয়। দেশে অনেকগুলো চারুকলা ইনস্টিটিউট রয়েছে। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু সব কিছুর উর্ধ্বে। তার ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক করা উচিত নয়।
এ বিষয়ে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য এম মোকাব্বির খান বলেন, ভাস্কর্য এখন কোনো ইস্যু নয়। আরো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আছে। সেগুলো নিয়ে কথা বলা দরকার।
দলের ঐক্যের বিষয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘গণফোরামে এখন আর কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই। ৯ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় জানানো হবে। ’
ড. কামাল বলেন, ‘ঘুষ, দুর্নীতি, বিদেশে অর্থপাচারসহ নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশ আজ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বর্তমানে দেশে অস্বস্তিকর রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজমান। ’
এর থেকে উত্তোরণের জন্য দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
সাংবাদিকদের দেওয়া এক বিজ্ঞপিতে তিনি বলেন, ‘দেশে করোনাকালীন এই দুর্যোগময় মুহুর্তে গণফোরামের নেতাকর্মীরা রাজধানীসহ সারা দেশে চাল, ডাল, আলু, তেলসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণ করছে। ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে। ’
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আবু সায়ীদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া অনুপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের অধ্যাপক আবু সায়ীদ সাহেব, সুব্রত ও রেজা কিবরিয়া আইসোলেশনে রয়েছেন। ’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলের নেতারা বিভিন্ন জেলায় যাবেন। তারা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর আমরা আমাদের কাউন্সিল করবো। ৯ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন শফিকুল্লাহ, মহসীন রশিদ, এ আর জাহাঙ্গীর ও মহিউদ্দিন আবদুল কাদেরসহ গণফোরামের নেতারা।