অনলাইন ডেস্ক: বৈধ মোবাইল সেটের নিবন্ধন ও অবৈধ সেট বন্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে চুক্তি করেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটি।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) বিটিআরসি কার্যালয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বিটিআরসির পক্ষে স্পেকট্রাম ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল ও সিনেসিসের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহরাব আহমেদ চৌধুরী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি অনুযায়ী ১২০ কার্যদিবসের মধ্যে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সিস্টেম কার্যক্রম চালু করবে সিনেসিসকে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেন, দেশীয় কোম্পানি বলে নয় সিনেসিস আইটির সঙ্গে এই চুক্তি সকল আইন মেনে করা হয়েছে। এখন তাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে তারা যেন আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে কাজটা সম্পন্ন করে
সিনেসিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহরাব আহমেদ চৌধুরী বলেন, প্রকল্পটি পুরোপুরি দেশীয় প্রযুক্তি দিয়ে বাস্তবায়ন ও সুসম্পন্ন করা হব। চুক্তি অনুয়ায়ী ১২০ কার্যদিবসের মধ্যে, অর্থাৎ ৯ জুনের মধ্যে প্রকল্প চালু করার কথা রয়েছে। আমরা মনে করি আগামী মার্চের মধ্যে এই প্রকল্প শেষ করতে পারব। এই জায়গায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিটিআরসির স্পেকট্রাম ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক সঞ্জীব কুমার সিংহ বলেন, গত এক বছরে অবৈধভাবে মোবাইল সেট প্রবেশের কারণে চার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে সরকার বঞ্চিত হয়েছে। এছাড়া অবৈধ মোবাইল সেট প্রবেশের কারণে দেশের নিরাপত্তা, এই শিল্পের সার্বিক ক্ষতি এবং সেসব মোবাইল সেটে নিয়ন্ত্রিত মাত্রার বেশি রেডিয়েশনের কারণে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বাড়ছে।
অনুষ্ঠানে অনলাইনে গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিটিআরসির উপপরিচালক জাকির হোসেন খান।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এনইআইআর সিস্টেমটি সরাসরি প্রত্যেক মোবাইল অপারেটরের ইআইআরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে।
গ্রাহকদের মোবাইল ফোন সেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল নেটওয়ার্কের সঙ্গে নিবন্ধিত হয়ে ব্যবহার উপযোগী হবে। এনইআইআর বৈধতা যাচাই করে তাৎক্ষণিকভাবে হ্যান্ডসেটে প্রবেশের সিদ্ধান্ত দেবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন বলেন, ২০১৯ সালের ১ আগস্টের আগে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত সকল মোবাইল সেট এবং ২০১৯ সালের ১ আগস্টের পরে বৈধ পথে আমদানি করা এবং দেশে উৎপাদিত/সংযোজিত সকল ফোন সেটের তথ্য কমিশনে সংরক্ষিত রয়েছে। এর বাইরে যদি কোনো মোবাইল সেট থাকে সে বিষয়ে পরবর্তীতে কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।