অনলাইন ডেস্ক: শেরপুরে ভিজিডির চাল আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় দুই সদস্যসহ এক ইউপি চেয়ারম্যানকে স্থায়ী বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
ভিজিডির চাল আত্মসাৎ এবং টাকার বিনিময়ে সচ্ছলদের মাঝে চাল বিতরণ করাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ মিলেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীকে স্থায়ী বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। একই অভিযোগে ৭ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য খাইরুল এনাম চাঁন ও ৭,৮,৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য রহিমা বেওয়াকে স্বীয় পদ থেকে স্থায়ী বরখাস্ত আদেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চিঠিতে ওই চেয়ারম্যানসহ দুই সদস্যের পদ শিগগিরই শূন্য করার ব্যাপারেও জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সরকারের তথ্য মতে, ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ু¨ব আলী ফর্স ও দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধ পরস্পর যোগসাজশে ভিজিডির ১২৪টি কার্ডের বিপরীতে উত্তোলিত চাল দীর্ঘ ১৮ মাস যাবৎ আত্মসাৎ করার অভিযোগ এবং প্রকৃত কার্ডধারীদের মধ্যে ভিজিডির চাল বিতরণ না করে টাকার বিনিময়ে সচ্ছল ব্যক্তিদের ভিজিডি কার্ড প্রদানসহ অনৈতিকভাবে জি আর চাল বিতরণের কপিকে ভিজিডি কার্ড গ্রহণের রিসিভ কপি বলে ব্যবহারের অপচেষ্টার অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে।
এসব অভিযোগের তদন্ত প্রমাণ মেলায়, স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯-এর ৩৪(১) অনুযায়ী গত ৩১ সেপ্টেম্বর তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেইসাথে তাদের কেন চূড়ান্ত বা স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, সে মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কারণ দর্শানোর জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯-এর ৩৪(৪) (ঘ) ধারা অনুযায়ী তাদের স্থায়ীভাবে বরখাস্তর প্রজ্ঞাপণ জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।