অনলাইন ডেস্ক: মামলাজট দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা বলে উল্লেখ করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এ সমস্যা সমাধানে সময় লাগবে।
রবিবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ডেভেলপমেন্ট প্লানিং এক্সপেরিয়েন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এই সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, দেশের মামলাজট সমস্যা একদিনে তৈরি হয়নি। এটি দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারই মামলাজট সমস্যা সমাধানে প্রথম সচেষ্ট হয়েছেন। এ জট নিরসনে সময় লাগবে। কারণ রাতারাতি একজন বিচারক বানানো যায় না। একটি সিস্টেম রাতারাতি পরিবর্তন করা যায় না।
আনিসুল হক বলেন, ২০০৭ সালের পয়লা নভেম্বর বিচার বিভাগ পৃথককরণের সময় বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ছিল না। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বিচারকদের স্বাধীনতা, বেতন ভাতা, সুযোগ সুবিধা- সবক্ষেত্রে তাদের প্রতি অন্যান্য সরকারের সবচেয়ে বেশি অনীহা ছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অবকাঠামো নির্মাণসহ নতুন নতুন বিচারক নিয়োগ দিচ্ছে, বিচারকদের প্রশিক্ষণ ও লজিস্টিক সুবিধা দিচ্ছে। পাশাপাশি আদালতের বাইরে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসা করে মামলাজট কমানোর চেষ্টা করছে। এর সুফল আমরা অবশ্যই পাব।
সেমিনারে এক প্রশ্নের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, স্টোরেজ এবং মজুতদারি দুটি এক বিষয় নয়। মজুতদারির ব্যাপারে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। সরকার জনগণের কষ্ট লাঘব করার জন্য মার্কেটে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন হলে সেটা করবে। কারণ ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর আমলে এ রকম একটি সংকট তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সে জন্যই বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ প্রণয়ন করা হয়েছিল এবং এই আইনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধারাটি হলো মজুতদারি এবং চোরাকারবারি। আইন অনুযায়ী মজুতদারদের শাস্তি দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির।