অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর জুরাইনে পেট্টোল পাম্পে গায়ে তেল ঢেলে আগুন দেওয়ায় দগ্ধ রিয়াদ হোসেন (২০) এর মৃত্যু হয়েছে।
শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিলো। রিয়াদের বাবা গাড়িচালক ফরিদ মিয়া তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বার্ন ইনস্টিটিউটের ৬ষ্ঠ তলায় ভর্তি ছিলো সে। রাতে তাকে ওয়ার্ড থেকে ৪র্থ তলায় আইসিইউতে নেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুল ইসলাম জানান, এস আহমেদ নামে পেট্টোল পাম্পে ৪ জন অপারেটর গত মঙ্গলবার রাতে ডিউটিতে ছিলো। এদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান ইমন (২২) নামে এক অপারেটর ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রিয়াদ তাকে ডাকতে যায়। সে না উঠলে বোতলের মুখায় করে সামান্য একটু অকটিন ইমনের গায়ে ছিটিয়ে দেয় রিয়াদ। পরে ইমন ঘুম থেকে জেগে আড়াইশ মিলিগ্রামের একটি বোতলে করে অকটিন ভরে রিয়াদের গায়ে ঢেলে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় ইমন। এতে রিয়াদের শরীরে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। পরে পাম্পের কর্মচারীরাই তাকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটাউটে ভর্তি করায়।
ঘটনার পর রিয়াদের বাবা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইমন সহ অপর দুই অপারেটর মো. ফাহাদ আহমেদ পাভেল (২৮) ও শহিদুল ইসলাম রনিকে (১৮) গ্রেফতার করা হয়।
জুরাইন কমিশনার মোড়ের নবারন গলির ১৩২৭/১ নম্বর বাসায় পরিবারের সাথে থাকতো রিয়াদ। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় সে। চলতি বছরই রিয়াদ সিদ্ধেশ্বরী কলেজে অনার্সে ভর্তি হয়।
ঘটনার পরদিন তার বাবা গাড়িচালক ফরিদ মিয়া জানান, মাসিক ৫ হাজার টাকা বেতনে পার্টটাইম চাকরী হিসেবে চলতি মাসের ৪ তারিখেই এস আহমেদ (সালাউদ্দিন আহমেদ) নামে ওই পাম্পে যোগ দেয় রিয়াদ। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকেই পাম্পের লোকজন তাদের ফোন দিয়ে জানায় রিয়াদ দগ্ধ হয়েছে, তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।