অনলাইন ডেস্ক: সরকার ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভুগছে মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর বলেছেন, কেউ দাবি নিয়ে রাজপথে আসলেই সরকার ভাবে এই বুঝি গদি নড়বড়ে হলো।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শ্রমিক-শিক্ষকদের ওপর রাতের আঁধারে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে ছাত্র-যুব-শ্রমিক অধিকার পরিষদ।
নুর বলেন, বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের নামধারী সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিজয়ের মাসে শ্রমিক, শিক্ষক ও আইনজীবীদের ওপর রাতের আঁধারে হামলা হয়।
এটি ৪৯ বছরে এসে স্বাধীনতার জন্য লজ্জাজনক ঘটনা।
তিনি বলেন, ‘সরকার কারও কথা শুনতে চায় না। তারা ক্ষমতা হারানোর ফোবিয়াতে (আতঙ্কে) ভুগছে। ঐক্যবদ্ধ হলে এই স্বৈরশাসন আর টিকতে পারবে না। ’
ডাকসু ভিপি বলেন, পুলিশ নেক্কারজনকভাবে গভীর রাতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এই হামলা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ২৫ মার্চ রাতের কথা মনে করিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, ‘যখন কেউ দাবি নিয়ে রাজপথে আসে, তখনই সরকার ভাবে, এই বুঝি গদি নড়বড়ে হলো। এই আতঙ্কে সরকার মানুষের কণ্ঠকে দমন করতে চায়। কালাকানুন করে সংবাদপত্রের কণ্ঠ বন্ধ করতে চায়। এভাবেই সরকার বাংলাদেশকে একনায়কতন্ত্র রাষ্ট্র বানাতে চায়।’
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় নুর বলেন, সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করতে পরিকল্পিতভাবে এই ভাস্কর্য ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সমাজে ইসলামবিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। এই বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ক্ষমতাসীন দল।
তিনি বলেন, কুষ্টিয়াতে যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে, তাদের বিচার করতে হবে। এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিকদের ওপরে যে নির্বিচারে হামলা হয়েছে, সেটিরও বিচার করতে হবে।
এতে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু হানিফ, ফারুক হাসান ও মশিউর রহমান, শ্রমিক অধিকারের সদস্যসচিব আরিফ হোসেন, শ্রমিকনেতা আবদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।