অনলাইন ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০২১ সালের পর ডাকঘরের বিদ্যমান চিত্র আর থাকবে না। ডাকঘর হবে অতীতের মতোই মানুষের অতি প্রয়োজনীয় ঠিকানা।
ডাকটিকিট প্রসঙ্গে বলেন, চিঠি লেখার দিন থাকুক বা না থাকুক ডাকটিকিটের প্রয়োজনীয়তা আছেই-থাকবেও।
ডাকটিকিট একটি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংস্কৃতি, বরেণ্য ব্যক্তিদের ইতিহাসের স্মারক হিসেবে কাজ করে বলেও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “চিঠি লেখার দিন থাকুক বা না থাকুক ডাকটিকিটের প্রয়োজনীয়তা আছেই-থাকবেও। জ্ঞানার্জনের জন্য ডাকটিকিটে যে তথ্য পাওয়া যায় তা অন্য কোথাও পাওয়া দুষ্কর। নতুন প্রজন্মকে তাই ডাকটিকিট সংগ্রহে উৎসাহিত করতে হবে। ”
একইভাবে এটি একটি সৃজনশীল কাজ হওয়ায় অঙ্কন-ডিজাইনে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত সৃজনশীল মানুষদের স্মারক ডাকটিকিটের ডিজাইনে কাজে লাগাতে হবে বলে উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী শনিবার রাতে ওয়েবিনারে বাংলাদেশ ফিলাটেলিক সোসাইটি আয়োজিত স্মারক ডাকটিকিটের প্রেক্ষিত বিষয়ক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
ডাক মন্ত্রী বলেন, “মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যেভাবে স্মারক টিকিটের মাধ্যমে প্রকাশ করেছি স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতেও স্বাধীনতার ঘটনাবহুল বিষয়গুলো নিয়ে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই সব স্মারক ডাকটিকিট ইতিহাস জানার জন্য পরবর্তী প্রজন্মের জন্য মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস। ”
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে কী কী বিষয়ে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা যায়? এ ব্যাপারে ফিলাটেলিক সংগঠনগুলোর মতামত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “ডাকঘরকে ডিজিটালাইজেশনের যাত্রা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আমরা ইতিমধ্যে শুরু করেছি। ডাকঘরের সঙ্গে দেশের প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি পরিবারের সম্পর্ক আছে।
২০২১ সালের পর ডাকঘরের বিদ্যমান চিত্র আর থাকবে না। ডাকঘর হবে অতীতের মতোই মানুষের অতি প্রয়োজনীয় ঠিকানা। ”
বক্তারা স্মারক ডাকটিকিট একটি জাতির ভবিষ্যৎ জ্ঞান সম্পদ উল্লেখ করে বলেন, ইতিহাস ঐতিহ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের পাহাড়, ঝরনাসহ নানা প্রাকৃতিক রূপ বৈচিত্র্য নিয়ে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা যায়। এর ফলে দেশ-বিদেশে এর চাহিদা আরও বাড়বে। তারা ডাক অধিদপ্তরের ফিলাটেলিক ব্যুরোকে আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সংগঠনের নেতা হাবিবুল আলম বীর বিক্রমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্মারক ডাকটিকিট সংগ্রাহক আনোয়ারুল কাদের, লস্কর ইফতেখার, অনমশরা ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।